
প্রকাশিত: Fri, May 5, 2023 5:24 AM আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 12:37 AM
প্যাকেট উধাও, খোলা চিনি ১৪০ সয়াবিনের দাম বেড়ে লিটার ১৯৯
মনজুর এ আজিজ: সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৩১ থেকে ৩৬ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। আর বাজার থেকে একরকম উধাও করেছে প্যাকেটজাত চিনি। এছাড়া প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। যা বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহেই প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা।
এদিকে চিনির দাম নিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার চিনির নতুন দাম নির্ধারণের পর থেকেই বেশি মুনাফার জন্য বাজারে সংকট তৈরি করেছে বড় বড় কোম্পানিগুলো। গত ৮ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির জন্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। তারপরও খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি উধাও। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। গত মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে চিনির সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য সরবরাহ স্বল্পতার জন্য দায়ী করছেন যা অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে। তারা বেশি দামে আমদানি করতে যাবে কি না সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দাম বেশি হওয়ায় তারাও আমদানি কমিয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চিনির দাম ১৫ শতাংশ বেড়েছে, এক বছরে তা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।
এদিকে তুরস্ক থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা কেজি দরে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এ চিনি কেনা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানীর মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বড় কোম্পানিগুলোর কেউ সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করছে না। তারা পাইকারি দর নিচ্ছে ১৩০ টাকা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের রসিদ দিচ্ছে না। আবার সরকারের কাছে দেখাচ্ছে নির্ধারিত দামেই (১০৪ টাকা) বিক্রি করছে। ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমানে এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা: ভোজ্যতেলের আমাদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকার প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসেসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়। নতুন মূল্য অনুযায়ী- খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা। এর আগে প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৭ টাকা। আর পাঁচ লিটার ২১ টাকা কমিয়ে ৯০৬ টাকা এবং পাম ওয়েলের দাম ছিল ১১৭ টাকা।
এ বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে রোববার (৩০ এপ্রিল) বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বুধবার থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
সমিতিটি বলেছে, ১ মে থেকে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে। দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রজ্ঞাপনটির মেয়াদ বাড়াতে চলতি মাসের শুরুর দিকেই আমরা এনবিআরকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এনবিআর থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। প্রজ্ঞাপনটি এখন ওঠে গেলেও ভোজ্যতেলের দামের ওপর এখনই প্রভাব পড়ার কথা নয়। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
